তৎকালীন সরকার এই আন্দোলন দমন করতে কঠোর অবস্থান নেয়। টিয়ারশেল, রাবার বুলেট, নির্যাতন, গুম— সবই প্রয়োগ করে। কিন্তু দমনের সেই নীতি বুমেরাং হয়ে ফিরে আসে। আন্দোলন পায় জনসমর্থন, ধীরে ধীরে রূপ নেয় গণআন্দোলনে। পতন হয় শেখ হাসিনা সরকারের। ৫ আগস্ট পরিণত হয় ইতিহাসের মোড় ঘোরানোর এক জীবন্ত ইতিহাস। অনেকেই এটিকে বলেন– ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্মক্ষণ’।
স্বৈরাচার হাসিনার পতনের এক বছর পার হচ্ছে। আজও অনেকে বলেন– ‘স্বপ্ন এখনো বেঁচে আছে, শক্তি হয়ে আছে’। আন্দোলনের রাজপথ ছেড়ে মানুষ জীবনের পথে ফিরলেও সেই দিনগুলো স্মৃতিতে গেঁথে রয়েছে, স্লোগানের শব্দ এখনো প্রতিধ্বনিত হচ্ছে মাথার ভেতরে। রাজনীতি, রাষ্ট্র, সমাজ— সবকিছু প্রত্যাশা অনুযায়ী না বদলালেও বদলেছে এ দেশের তরুণদের আত্মপরিচয় ও প্রত্যয়ের ভাষা!
বিজ্ঞাপন
অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণেরা বলছেন, ‘প্রজন্মের অনুভূতি, প্রত্যয় ও অভিজ্ঞতার আলোকে তৈরি হয়েছে এক নতুন বাস্তবতা। যেখানে স্বপ্ন ভেঙে না পড়ে শক্তি হয়ে দাঁড়িয়ে থাকার সাহস জুগিয়ে যাচ্ছে।’